প্রমোট/বুষ্ট কী?
ইন্টারনেট ব্যবহার করে অথচ ফেসবুক আইডি নেই এমন লোক বাংলাদেশে আছে বলে আমার মনে হয়না।
আর ফেসবুকের একটি মজার অংশ হচ্ছে ফেসবুক পেইজ। সবাই’ই চায় তার একটা জনপ্রিয় ফেসবুক পেইজ থাকুক। কিন্তু ফেসবুক পেইজের লাইক বাড়াতে না পেরে হতাশ হয়ে পরে।
অনেক চেষ্টার পরেও যখন পেইযে লাইক বাড়েনা তখনই ভাবে আমাকে দিয়ে মনে হয় হবেনা। আর সত্য এটাই যে পেইজ প্রমোট করা ছাড়া পেইজ জনপ্রিয় ও বড় করা সম্ভবই নয়।
আজ আলোচনা করবো ফেসবুক প্রমোট/বুষ্ট নিয়ে।
প্রমোট/বুষ্ট কী?
অনেকে এটাকে অটো লাইক মনে করেন। আসলে এমনটা না। প্রমোট/বুষ্ট হচ্ছে ফেসবুক পেইজে লাইক বাড়ানোর নিয়মতান্ত্রিক প্রন্থা। প্রমোট দিলে আপনার পেইজটি মানুষের হোমপেইজে পৌছাবে এবং যদি ভালো লাগে তারা এতে লাইক দেবে।
ফেসবুক পেইজ সাধারণত এভাবেই লাইক বাড়িয়ে জনপ্রিয় করা হয়। পৃথিবীতে যত বড় বড় পেইজ আছে, সবগুলাই এই প্রন্থাতে বড় করা।
এবার জেনে নিই প্রমোট আর বুষ্টের মধ্যে পার্থক্য কিঃ
আসলে দুটোর মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। বুষ্ট দেওয়া হয় পেইজের পোষ্টকে। আপনার পেইজে একটা পোষ্ট করে সেটাকে বুষ্ট দিলে সেই পোষ্টটা মানুষের কাছে বেশি বেশি পৌছাবে এবং তারা এই পোষ্টটাতে লাইক দেবে,কমেন্ট করবে ; একেই বলে বুষ্ট।
আর প্রমোট দিলে আপনার সম্পূর্ণ পেইজটাই মানুষের কাছে পৌছাবে এবং তারা সেটাকে লাইক দেবে ; এতে আপনার পেইজের লাইক বাড়বে।
আপনি যদি আপনার নির্দিষ্ট কোনো পোষ্ট বা ছবি মানুষের কাছে ছড়াতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি বুষ্ট দেবেন।
আর যদি আপনার পেইজকে জনপ্রিয় করতে চান, তাহলে প্রমোট দেবেন। (আমার মতে প্রমোট দেওয়াই ভালো। এতে লাইকগুলো আপনার পেইজে স্থায়ী হয়ে গেলো)
কিভাবে দিতে হয় প্রমোট বা বুষ্টঃ
পেইজ প্রমোট দিতে হলে মাস্টার কার্ডের প্রয়োজন হয়। সেই কার্ডটাতে ডলার ($) রিচার্জ করে প্রমোট বা বুষ্ট দিতে হয়।
১ ডলার ($) = ৮২ বা ৮৪ টাকা । আপনি যত বেশি টাকার প্রমোট দেবেন ততো বেশি লাইক আসবে। এটার কোনো শেষ নেই । কোটি কোটি টাকার প্রমোট দিলেও এটি শেষ হবেনা। তবে ১ ডলারেও দেওয়া যায় এটি ।
কোথায় পাবো সেই কার্ডঃ
এই কার্ড সাধারণত যারা ফেসবুক বিজনেস করে তাদের কাছেই পাওয়া যায়। নরমাল কোনো ব্যক্তির কাছে এটা থাকেনা।
আমেরিকার একটা কোম্পানীতে এপ্লাই করে এটা সংগ্রহ করা যায়। তবে এটা পাওয়া অনেক ঝামেলা।
তবে এখন বাংলাদেশে থেকেও খুব সহজেই মাস্টার কার্ড পাওয়া যায় ।
আপনার নিকটস্থ কারো যদি কার্ড থেকে থাকে তাহলে আপনি ওই কার্ড দিয়ে পেইজ প্রমোট করতে পারেন।
অনলাইনে অনেকে এই কার্ড দিয়ে ব্যবসাও করে। (যেমনঃ আমরা জানি ১ ডলারের দাম ২ টাকা। আপনি তাকে ১ ডলারের জন্য ৯০ টাকা দিলে সে আপনার পেইজকে প্রমোট করে দিতে পারে ।)
আপনি চাইলে তাদের কাছ থেকেও সাহায্য নিয়ে পেইজ প্রমোট করতে পারেন।